সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ তার বাণীতে বলেছিলেন—ভোগই দুঃখ। এই দর্শনের মর্মার্থ হলো, অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা, ভোগ-বিলাস এবং ক্ষমতার প্রতি আসক্তিই মানুষের কষ্ট ও যন্ত্রণার মূল উৎস। আজ এই বৌদ্ধিক বাণী স্মরণে আসে যখন আমরা সন্তু লারমার নেতৃত্বের দীর্ঘ ইতিহাসের দিকে তাকাই।
দীর্ঘকাল ধরে সন্তু লারমা একটি জনপদের রাজনৈতিক নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত আছেন। তবে তার এই নেতৃত্ব গণমুখী না হয়ে একচ্ছত্র শাসনের প্রতীক হয়েছে। তার দীর্ঘস্থায়ী কর্তৃত্ব ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার বলয় সৃষ্টি করেছে মাত্র, যেখানে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বারবার অবহেলিত হয়েছে। তিনি যে ভোগের পথ বেছে নিয়েছেন—স্বার্থ, ক্ষমতা, আধিপত্য এবং নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সংরক্ষণের লালসা—যা এই সময়ে তার নিজের জাতির জন্য দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই একচ্ছত্র আধিপত্য শুধু রাজনৈতিক কাঠামোকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও রেখে যাচ্ছেন একটি কলঙ্কিত ইতিহাস। সন্তু লারমার নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং তার ভোগবাদী প্রবণতা ইতিহাসে তাকে এমন এক ব্যক্তিতে পরিণত করবে, যাকে নির্বাচিত হলেও, তার কর্মকাণ্ড সর্বাধিক সমালোচিত এবং কলঙ্কিত হয়ে থাকবে।
এই কলঙ্ক কেবল বর্তমান নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চেতনাতেও রয়ে যাবে। সন্তু লারমার যুগশাসনের ব্যর্থতা, তার আত্মকেন্দ্রিকতা এবং নৈতিক বিচ্যুতি—এসব ইতিহাসে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে, যে নেতৃত্ব ভোগকে আদর্শ করে, তার ফল অনিবার্যভাবে দুঃখ।