পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২১ তম কাউন্সিল সম্পন্ন: সভাপতি ভুবন চাকমা, সাধারন সম্পাদক সুদর্শন চাকমা নির্বাচিত
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর সভাপতি অমল ত্রিপুরা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, নানা অপৎতপরতা রয়েছে, বিশেষ মহলের নির্দেশনায় খুন-অপহরণ-হত্যা, দমন-পীড়ন, জেল-জুলুম অব্যাহত রেখেছে। এটি পাহাড়িদের ওপর রাষ্ট্রের জাতিগত নিপীড়নের অংশ, এরই মাধ্যমে রাষ্ট্র জাতিসত্তাসমূহের অস্তিত্বকে বিলিন করে দেয়ার সু-গভীর ষড়যন্ত্র প্রতিফলিত হয়। রাষ্ট্রের জাতি ধ্বংসের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে গড়ে তুলতে হবে। যুগের পর যুগ পাহাড়ি জাতি ও জনমানুষ ক্রান্তিকাল সময় পার করছে, রাষ্ট্রের অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকতে হচ্ছে সামনে দিনেও সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এর জন্য ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, জাতির দুর্দিনে পাশে দাঁড়াতে হবে।
আজ শনিবার, (৩১ মে ২০২৫) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) হল রুমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২১তম কাউন্সিল অধিবেশনের বক্তব্য প্রদানকালে তিনি একথা বলেন।
পিসিপির সভাপতি অমল ত্রিপুরা বক্তব্য শুরুতে সেনা-বিডিআর (বিজিবি) কর্তৃক বরকল ভূষণছড়া গণহত্যায় নিহত ও ধর্ষিত মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা ও স্মরণ করেন এবং পিসিপি’র চবি শাখার সাবেক সভাপতি মিটন চাকমাকে স্মরণ করেন।
সভায় চবি কাউন্সিল গুরুত্ব তুলে ধরে অমল ত্রিপুরা বরেন, সারাদেশে তালমাতাল পরিস্থিতি। নারীর ওপর আক্রমণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, হত্যা ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে মৌলবাদী শক্তির হামলা, ক্যাম্পাসসমূহের সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব কার্যক্রম চলছে। কয়েকদিন আগেও রাবি, চট্টগ্রামে আমাদের বন্ধুরা আক্রমণে শিকার হয়েছিল, ঢাকায় আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদকের বাড়িতে গিয়ে হুমকির মত ঘটনাও লক্ষ্য করছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার আদেশ এখনো বাতিল করা হয়নি।
অপরদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অব্যহত সেনাশাসন, ভূমি বেদখল, নারী ধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্মান্তরীণ করে অস্তিত্ব ধ্বংস করে দেয়ার পায়তারা চালানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বান্দরবানে এক খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হল, গতপরশু মহালছড়িতে নিজ বাড়িতে ঢুকে মায়ের কোলে থাকা শিশুকে কেড়ে নিয়ে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বাহিরে ধানক্ষেতে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হল এক সেটলার। ধর্ষকের পক্ষালম্বন করে ঘটনা জানাজানি না করতে সেনাবাহিনী বিজিতলা ক্যাম্প থেকে মুরব্বিদের বলা হয়েছে। কাজেই এমন পরিস্থিতিতে চবি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই কাউন্সিল নিশ্চয় চবিসহ দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের মাঝে এক তাৎপর্য রয়েছে। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব চাকসু নির্বাচনসহ, চবি’র ৭শতাধিক পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায় ও পাহাড়-সমতলে আগামী দিনে লড়াই সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।
তিনি আরো বলেন, আগেকার সময়ে রাষ্ট্রের এই নিপীড়ন অধিকাংশ পাহাড়ে দেখা যেত, বর্তমানে পাহাড় পেরিয়ে তা দেশে অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। আগে পাহাড়ে যা ঘটতো সমতলেও তা লক্ষ্য করছি। সারাদেশে নারীর ওপর আক্রমণ দিন দিন বাড়ছে, গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা, হামলা, শ্রমিক হত্যা, সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ওপরে হামলা ইত্যাদি ঘটনা প্রতিনিয়ত চলছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস দখলদারিত্ব চলছে। রাবি, চট্টগ্রামে আমাদের সহপাঠী, বন্ধুদের ওপর আক্রমণ, হামলা করা হল। দেশের এ অরাজকতার পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করা ছাড়া আমাদের বিকল্প কোন পথ নেই।
অমল ত্রিপুরা বলেন, শাসকরা যুগে যুগে শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়ত মানুষকে দমনের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে, অপতৎপরতা চালায়। কিন্তু এর প্রতিবাদে নিপীড়িত শ্রেণী সংগঠিত হয়েছে, লড়াই করেছে, প্রতিরোধ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছে। আমরা ভিয়েতনামে দেখেছি, রাশিয়া, ফরাসি, চীন বিপ্লবের কথা জানি, আফ্রিকায়ও তা দেখেছি। বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামে দেখেছি সর্বশেষ ২৪ গণঅভ্যুত্থানে তা দেখেছি। সবই নিপীড়িত জনতার বিজয় হয়েছে। শাসক যতই শক্তিশালী হোক তারা পরাজিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধীনতার পরবর্তীতে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে, আজ অবদি জাতীয় মুক্তি আন্দোলন চলছে, সংগ্রাম জারি রেখেছে। এই লড়াই সংগ্রামকে বাধাগ্রস্থ করতে রাষ্ট্র ও তাদের পদদলিত পাহাড়িদের মধ্যে কিছু মানুষ মুক্তিকামী মানুষের বিপরীতে কাজ করছে। ছাত্র সমাজকে রাষ্ট্রীয় অপশক্তি ও জাতীয় দালাল-প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রতিহত করে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে। নিপীড়িত জাতির মুক্তির সনদ পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লড়াইকে বেগবান করতে এগিয়ে আসতে হবে।
পিসিপি’র ২১ তম কাউন্সিলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চবি শাখার সভাপতি রোনাল চাকমা’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ভূবন চাকমা সঞ্চালনায় কাউন্সিল অধিবেশন আরো বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোহেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা৷ এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা।
হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দয়াসোনা চাকমা তার বক্তব্য বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লড়াই সংগ্রাম কখনো মসৃণ ছিলো না। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে শহীদ হয়েছে। শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অন্যায়ভাবে মামলা, হামলার শিকার হয়েও পিসিপির লড়াই সংগ্রামকে দমাতে পারে নি। পিসিপি তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যেই আপোষহীন লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
পাহাড়ের নারীরা আজ নিরাপদ নই মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন,গত ১ মাসে পাহাড়ে দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোন সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। প্রশাসন থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এতাই প্রমাণ করে প্রশাসন ধর্ষকদের পাহাড়াদার। আমাদের নিরাপত্তা আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। এ কারণে লড়াই সংগ্রামের বিকল্প নেই।
পিসিপি’র চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোহেল চাকমা বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সংকটকালীন সময়েও তার লড়াই সংগ্রাম থেকে পিছপা হয় নি। সংকটকালীন সময়ে লড়াই সংগ্রাম করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সম্ভাবনা জায়গা তৈরী করে। পিসিপি প্রতিষ্ঠা শুরু থেকে শত বাধা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা, সহযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ তা প্রমাণ দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ থেকে বর্তমান বাঙালি শাসকরা আমাদের পাহাড়িদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তার একমাত্র কারণ পাহাড়িরা রাজনৈতিকভাবে অগ্রসর এবং সংগঠিত না হওয়ার কারণে। ছাত্রসমাজকে তার দায়িত্ববোধকে অনুধাবন করতে হবে। ছাত্রসমাজকে তার দায়িত্ববোধকে বুকে ধারণ করে জুম্ম জনগণের জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রামে সমবেত হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত জ্ঞান আহরণ ও রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্রের জায়গা।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের শাসকগোষ্ঠী এবং প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
সভাপতি রোনাল চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বছর পর চাকসুতে আমরা কাউন্সিল করছি। এ কাউন্সিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্য বহন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান উৎপাদন, বিতরণ ও সম্ভাবনার জায়গা। আমাদের অর্জিত জ্ঞান নিপীড়িত জুম্ম জনগণের কল্যানার্থে পাহাড়ে গিয়ে কাজ করতে হবে। নতুন কমিটির যারা দায়িত্ব নিবে তাদের চেষ্টা ও মেধার বলে সংগঠন সামনে বহুদূর এগিয়ে যাবে। পিসিপি এখন আর আঞ্চলিক ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নই। মেধা, শ্রম ও লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে পিসিপি তার সাংগঠনিক বিস্তৃতি এখন জাতীয় পর্যায়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বিরুদ্ধে পিসিপি সামনে সারি থেকে লড়াই করেছে। দেশের সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সমতলের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে জোটবদ্ধভাবে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সক্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সবসময় সরব ছিল, আগামী দিনেও থাকবে।
চাকসু’তে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ভাষা, সংস্কৃতি বিকাশ, চর্চা এবং গবেষণা ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল ও জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চাকসু’তে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক পদ অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। এছাড়া রেসিজম এবং জাতিগত বুলিং প্রতিরোধেও এই সম্পাদক কাজ করতে পারবে।
স্বাগত বক্তব্য সুদর্শন চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পার্বত্য চট্টগ্রামে খুব কাছাকাছি হওয়ায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ছাত্র সমাজের ঐতিহাসিক আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত চোখে পড়ার মতো। পার্বত্য চট্টগ্রামের নব্বই দশকের ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব বেগবান হয়েছিল। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের যাত্রা চবি । দেশব্যাপী সাড়া জাগানো ম্যাগাজিন রাডার, স্যালভো সেসময়ে ছাত্র আন্দোলনকে বেগবান করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সংকটকালীন সময়েও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ তার লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের তরুণ পাহাড়ি ছাত্র সমাজ তার দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে।পূর্বসূরীদের সংগ্রামের ঐতিহাসিক দায়িত্ব তরুণদের কাঁধে নিতে হবে।
“চাকসু নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর,
সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব বন্ধ ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র সমাজ এক হও, আসুন, জুম্ম জনগণের জাতীয় মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে পিসিপি’র পতাকাতলে সমবেত হই”এই স্লোগানে পিসিপির দলীয় সঙ্গীত “পাহাড়ি ছাত্র ছাত্রী দল” পরিবেশনের মাধ্যমে কাউন্সিলের ১ম অধিবেশন শুরু হয়। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
কাউন্সিলের ২য় অধিবেশনে শাখার সাংগঠনিক রিপোর্ট তুলে ধরেন পিসিপি চবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা। এরপর পুরাতন কমিটি বিলুপ্তি ও প্রস্তাবিত নতুন কমিটি ঘোষণা করেন পিসিপি চবি শাখার সদ্য বিদায়ী সভাপতি রোনাল চাকমা। এতে ভুবন চাকমাকে ও সুদর্শন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হলে অধিবেশনে উপস্থিতি প্রতিনিধিগণ জোর করতালি দিয়ে পাশ করা নেয়। এরপর নতুন কমিটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী দয়াসোনা চাকমা ও পিসিপি চট্টগ্রাম নগর সভাপতি সোহেল চাকমা এবং সদ্য বিদায়ী সভাপতি রোনাল চাকমা। এরপর নতুন কমিটির সভাপতি ভুবন চাকমা কাউন্সিল অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কাউন্সিল উপলক্ষে প্রকাশিত লিফলেট এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট নিম্নোক্ত দাবি জানানো হয়:
১.চাকসু’র দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা কর। নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর।
২.চাকসু’তে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদ অন্তর্ভুক্ত কর।পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশে গবেষণায় বিশেষ প্রনোদনা দাও। সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের ভাষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু কর।
৩.অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান হল ও নবাব ফয়জুন্নেছা হলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও সংখ্যালঘুদের জন্য প্রাপ্য ৬০% আসন যথাযথভাবে নিশ্চিত কর।হলে খাবারের মান, আবাসন ও হলে উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত সমাধান কর।
৪.চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ০৩ নারী শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার কর।