জেএসএসের জাত বিদধংসী সিদ্ধান্তের কারণে ভারতের আদি চাকমাদের সামাজিক জীবন এখন হুমকির মুখে। অস্ত্র ব্যবসা,মাদক ব্যবসা,চোরাকার্বারী মত জঘন্য কাজে জড়িত তাদের নেতাকর্মীরা বারংবার ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হচ্ছে। সর্বশেষ রইস্যাবাড়ি আমতলী থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ জন সশস্ত্র কর্মী আটকের ঘটনা ভারতীয় মিডিয়ায় হুইচই ফেলে দেয়। আটককৃতদের অনেকে পায়ে গুলিবিদ্ধ। সন্তু জেএসএসের সশস্ত্র কর্মী আটকের ঘটনা সবচে বেশি বিরুপ প্রভাব ফেলছে ভারতীয় চাকমাদের অস্তিত্বের ওপর। তাদের এখন রাস্তাঘাটে- দোকানপাটে নানা ধরণের প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হচ্ছে। অপমানিত হতে হচ্ছে। জেএসএসের অবৈধ,অনৈতিক কার্যকলাপ এর জন্য দায়ি। ভারতীয় চাকমাদের এই কেসারত দিতে হচ্ছে শুধুমাত্র জেএসএসের কারণে। তাই ঘটনার পর আগরতলা,গন্ডাছড়া যুব সমাজ বহিরাগত জেএসএস নেতাকর্মীদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে। সন্তু লারমার ১৩ জন সশস্ত্র ক্যাডার আটকের ঘটনায়ও জুম্ম জনগণের কোনো অনুতাপ নেই। কারণ, পানছড়িতে জেএসএম হামলা করতে আসার খবর পেয়ে ব্যাপক ছাত্র- যুব সমাজ ও জনগণ তীব্র বিরোধীতা করেছিল। দিকে দিকে ঐক্যের আওয়াজ তুলেছিল। কিন্তু সন্তু লারমা সেই ঐক্যের আওয়াজের কণ্ঠটিপে ধরে সমগ্র জুম্মগণের ইচ্ছা-অনুরোধের বিরুদ্ধে গিয়ে রক্তাক্ত অভিশপ্ত সংঘাত সূচনা করে। যারা জনগনের ইচ্ছা- আকাঙ্ক্ষা - অনুরোধকে পরোয়া করে না জনগণও তাদের জন্য কাঁদে না। পানছড়িতে চরম পরাজয়- আহত-নিহত- ভারতে পুরো গ্রুপ আটকের পর জেএসএসের হুচ ফিরবে কি?