খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়িতে কথিত ধর্ম যুদ্ধে পরাজিত হয়ে যুদ্ধাহত জেএসএস কর্মী নির্ভয় চাকমার স্ত্রী পূর্ণা চাকমার ভারতের ত্রিপুরা পুলিশের কাছে জবাব বন্দী ও স্বীকার উক্তি।
পূর্ণা চাকমা ভারতীয় পুলিশের কাছে নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছে যে,তিনি সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জেএসএস সশস্ত্র শাখার সদস্য নির্ভয় চাকমার স্ত্রী।তার শশুর বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার মধ্যেম বাঘাইছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ।তার শশুরের নাম প্রসেনজিৎ চাকমা।এক বছর তিন মাস হয়েছে সে নির্ভয় চাকমাকে বিবাহ করেছে।
তাদের এখনো সন্তান হয়নি।
মিসেস পূর্ণা চাকমা বলেন, তারা ত্রিপুরা গন্ধাছড়া মহকুমায় অস্থায়ীভাবে ফ্যামিলি কোয়ার্টারে বসবাস করছে।প্রায় ৫০টির অধিক পরিবার তারা ত্রিপুরা গন্ধাছড়ায় জেএসএস সন্তু লারমার গড়ে দেওয়া ফ্যামিলি কোয়ার্টারে বসবাস করে আসছে।তিনি আরো বলেন,কাঞ্চনপুর,পেঁচারথল,কুমারঘাট,আগরতলা,নন্দন নগর, অভয় নগর ইত্যাদি জায়গায় তাদের দলের নেতাকর্মীদের নিজস্ব বাড়ি ঘর রয়েছে।
পূর্না চাকমা বলেন,অনেকের কাছে ভারতীয় পরিচয় পত্র আধার কার্ড রয়েছে অনেকের কাছে নেই।যারা সদ্য বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের অধিকাংশ ভারতীয় আধার কার্ড নেই।
👉কি ভাবে পরিবার ভরনপোষণ করেন? পুলিশ জানতে চাইলে।
মিসেস পূর্ণা চাকমা নিঃসংকোচে বলেন,অত্যন্ত কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।অনেক সময় টাকার অভাবে দিনমজুর করে চলতে হয়।মাসে তিন হাজার রুপি পার্টির পক্ষ থেকে পরিবানরভাতা দেওয়া হয়।তরে সেগুলো সঙ্কুলান হয় না।
সে আরো বলেন,যারা নেতা তাদের টাকা পয়সার কোন অভাব অভিযোগ নেই।তারা ইচ্ছেমত জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারে।আর যারা সাধারণ কর্মী রয়েছে তারা অত্যন্ত কষ্ট করে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
👉কিভাবে জানলে আপনার স্বামী যুদ্ধে আহত হয়েছে? পুলিশ জানতে চাইলে।
পূর্ণা চাকমা বলেন,আমাকে ফোন করে বলেন তোমার আগরতলা আসতে হবে।সেখানে আসলে বিষয়টা জানতে পারবে।তাই আমি এসে দেখলাম হাঁপানিয়া মেডিক্যাল কলেজের সামনে একটি বাড়িতে তার স্বামী নির্ভয় চাকমাসহ দশজন যুদ্ধাহত কাতরাচ্ছে।আমি বিচলিত না হয়ে পারলাম না।তাই সেখানে যুদ্ধে আহতদের পরিচর্যা করতে আমিসহ তিনজন মেয়েকে উচ্চ মহল থেকে বলা হয়।
তাই তাদের পরিচর্যা করতে গিয়ে রাত বারটায় আপনারা (পুলিশরা) আটক করে নিয়ে আসেন।এই হল আমার সত্য জবাব বন্দী বা স্বীকার উক্তি।