গতকাল সন্তু লারমার সশস্ত্র ক্যাডারদের অতর্কিত হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় মাত্র পাঁচ বছর বয়সী এক নিষ্পাপ শিশু—প্রজ্ঞা চাকমা। এই নির্মম ঘটনার ক্ষত শুধু তার দেহেই নয়, চিরস্থায়ী দাগ কেটে গেছে তার শৈশব, তার মানসিক জগতে, আর আমাদের সমাজ-মননে।
এই ছোট্ট শিশুটি বড় হবে, কিন্তু এক বিশাল প্রশ্ন তাকে প্রতিদিন তাড়িয়ে বেড়াবে।
হে সন্তু লারমা, আমার অপরাধ কী ছিল ?
কেন তুমি আমাকে গুলি করলে ?
আমি কি তোমার কোনো ক্ষতি করেছিলাম ?
আমি কি তোমার শত্রু ছিলাম, যে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলে ? আমি তোমার ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী ?
এই প্রশ্ন শুধু প্রজ্ঞা চাকমার নয়—এটি পাহাড়ের হাজারো নিরীহ, নিরপরাধ মানুষের প্রশ্ন, যারা গত তিন দশক ধরে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র সহিংসতায় নিপীড়নের শিকার হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিচালিত এই তথাকথিত গৃহযুদ্ধে একের পর এক প্রাণহানি, গুম, হামলা ও নিপীড়ন এ অঞ্চলের শান্তিপ্রত্যাশী মানুষদের আতঙ্কিত করে রেখেছে। সন্তু লারমা আজ যাদের তুমি হ**ত্যা করে যাচ্ছ, ইতিহাস তোমাকে প্রতিদিন হ*ত্যা করবে মনে রেখো।
এই সহিংস রাজনীতির দায় থেকে সন্তু লারমা ও তার অনুসারীরা মুক্তি পেতে পারেন না। ইতিহাস একদিন তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেই। তাদেরকে উত্তর দিতে হবে—কেন পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটিতে শিশুদের রক্ত ঝরেছে, কেন নিরপরাধ মানুষের কান্না আজো থামেনি।
আজকে প্রজ্ঞা চাকমার চোখ দিয়ে আমি দেখতে পাই এক আহত প্রজন্মের ক্রন্দন। তার রক্ত আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তোলে। এখন সময়, এই সহিংসতার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষভাবে প্রতিবাদ জানানো এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সত্যিকারের শান্তি ও ন্যায়ের দাবি তোলার। সন্তু লারমার এই দানবের তাণ্ডব বন্ধ করতে না পারলে, রুখতে না পারলে আমরা চিরতরে হারিয়ে যাবো।