পাহাড়ে অধিকার মানে প্রেমিকার কাঁপতে থাকা হাত ছেড়ে দিয়ে অন্ধকারের দিকে হাঁটা।
যেখানে ফুল নয়, পায়ে পড়ে পাথর, মাথার ওপরে গোলাগুলির শব্দ—
তবু থেমে যাওয়া যায় না।
কারণ এই হাঁটা কেবল নিজের জন্য নয়, গোটা জাতির জন্য।
অধিকার মানে বৃষ্টির রাতে ভিজে যাওয়া ছেলেটি,
যে জানে আজও হয়তো তার ঘুম আসবে না—
কারণ তার বন্ধুর বুক ভেদ করে আজ গুলি গেছে,
তবু প্রতিশোধ নয়, সে ভাবে—
“আগামীকাল যেন আর কারও ভাই মারা না যায়।”
কখনও কখনও,
প্রয়োজনে নিজের ভাইয়ের বুকেই গুলি চালাতে হয়—
যখন সে পাহাড় বিক্রি করতে চায়,
যখন সে শত্রুর হয়ে দাঁড়ায় নিজের গোত্রের বিপক্ষে।
তখন চোখের জল চেপে রেখে বলতে হয়—
“ক্ষমা করিস ভাই, আজ তোকে রক্ষা করলে পুরো জাতি হারিয়ে যাবে।”
পাহাড়ে অধিকার মানে খিদে পেটে নিয়ে পাহারা দেওয়া,
ভয় পেছনে রেখেও সামনে এগিয়ে চলা।
মানে স্বপ্নের বদলে অস্ত্র ধরা,
মানে প্রেমের বদলে শপথ নেওয়া।
তুমি ভাবো আমরা কেন কাঁদি না?
কারণ আমাদের কান্না পাহাড় শোনে,
আমাদের চোখে জল থাকলে চলবে না—
আমাদের চোখে আগুন থাকতে হয়।
আমরা কেন এত ত্যাগ করি?
কারণ একদিন যেন কেউ এসে বলে—
“এই মাটি আমার ভাইয়ের রক্তে সিঁচিত।
এই আকাশ আমার বোনের প্রার্থনায় মুক্ত।”
অধিকার মানে শুধুই জমি নয়, মানচিত্র নয়—
অধিকার মানে ভালোবাসার স্বাধীনতা,
গৌরবের ইতিহাস, নিজের ভাষায় বাঁচার অধিকার।
তাই বলছি—
আমাদের অধিকার চাই,
ভিক্ষা নয়, অনুগ্রহ নয়, শান্তিপত্র নয়—
আমাদের অধিকার চাই, কারণ আমরা তার যোগ্য।
এটা যদি বুঝতে পারো,
তবে বুঝবে।