গত ১৭ তারিখে বিকেল ৫ টায় লংগদুর কাট্তলীতে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের আবারও হুমকি দিয়েছে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
গত ১৭ তারিখে লংগদুর কাট্তলীতে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বিশিষ্ট মুরুব্বী বাক প্রতিবন্ধীসহ ১৩ জনকে শারীরিক নির্যাতন চালায়।
তারা হলেন ১. সুবর্ণ জীবন চাকমা (৬০), পিত- প্রভাত কুমার চাকমা, পেশা- দোকানদার; ২. অভয় চাকমা (৫৮), পিতা- শুভ কুমার চাকমা, পেশা- প্রধান শিক্ষক, কাট্টলী উচ্চবিদ্যালয়; ৩. বিদ্যাধন চাকমা (৫৫), পিতা-ঝরবো ধন চাকমা, পেশা- সহকারী শিক্ষক, বামে হাড়িকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; ৪. বিমল জ্যোতি চাকমা (খন্ডকালীন শিক্ষক) বয়স- ৩৫ বছর।, পিতা- নন্দ কুমার চাকমা; ৫. দাশ চাকমা (৫৫), পিতা- হরি চন্দ্র চাকমা, পেশা- দোকানদার; ৬. বীর রন্জন চাকমা (৪৭), পিতা- শ্যাম চন্দ্র চাকমা, পেশা- দোকানদার, ৭. প্রেম লাল চাকমা (৫৮), পিতা- দশরত চাকমা, পেশা- দোকানদার; ৮. বিরাজ মোহন চাকমা (৩৮), পিতা- অজ্ঞাত, পেশা- দোকানদার; ৯. জ্যোতি চাকমা (৫২), পিতা- অজ্ঞাত, পেশা- দোকানদার; ১০. লিটু চাকমা (৩৫); পিতা- অজ্ঞাত; পেশা- কাট্টলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরানি; ১১. লিটন চকমা (৪০), পিতা- অজ্ঞাত, পেশা-দোকানদার; ১২. বাবুল চাকমা (খণ্ডকালীন শিক্ষক), বয়স- ৪২ বছর, পিতাঃ অজ্ঞাত, ১৩. মরত চবো চাকমা (বোবা) বয়স- ৩৫ বছর, পিতা- অজ্ঞাত, পেশা- দোকানদার (নাপিত)
গতকাল ১৮ জুন বিকেলে আবারও তাদেরকে দেখে পাঠিয়েছে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এতে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কমান্ডার (জুনোপর) উপস্থিত ভুক্তভোগীদের শাসিয়ে বলে, তোমরা আমাদেরকে না বলে ইউপিডিএফ কর্মীদের কাছে যাচ্ছিলে – এটা তোমাদের বড় অপরাধ। তার জন্য তোমরা শাস্তি পেয়েছো। এ ধরনের অপরাধ যেন ভবিৎষ্যতে না ঘটে তার জন্য সর্তক করছি। এ ধরনের অপরাধ আরো ঘটলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে”। জুনোপরের এ ধরনের হুমকি তে সকলে হতবাক হয়ে পরে। এই খবরটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করে। অনেকেই বলতে শোনা যাই এ ধরনের হলে এখানে বাস করা কঠিন হবে।