গত এক সপ্তাহ ধরে মিশন নোনাহাজি রুখতে তার অজুহাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাড়েইছড়ি এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। এই অবস্থানকে কেন্দ্র করে গোপন সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় সন্তু লারমা তার সশস্ত্র ক্যাডারদের কাছে বিপজ্জনক পরিমাণ গোলাবারুদ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। এই অস্ত্রশস্ত্রের জোরেই গতকাল ধর্মযুদ্ধের নামে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র ক্যাডাররা।
প্রশ্ন হলো, এই সেনা মোতায়েন কতদিন স্থায়ী হবে ? আর কতদিন রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় সন্তু লারমার সশস্ত্র বাহিনী পার্বত্য জনপদের উপর সন্ত্রাস চালাতে পারবে ?
ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে—অন্যায় ও অবিচার কখনও চিরস্থায়ী হয় না। যত শক্তিশালী বলয়ই হোক না কেন, যত প্রভাবশালী সমর্থনই থাকুক, অন্যায়ের শাসন ক্ষণিকের। সত্যকে দমিয়ে রাখা যায় না। অন্যায়ের সাময়িক উত্থানের পরিণতি একসময় নিশ্চিত পতনেই গিয়ে ঠেকে।
যারা ন্যায় ও নৈতিকতার পক্ষে আছেন, তাদের লড়াই হয়তো কঠিন, তবে তা নিঃসন্দেহে ফলপ্রসূ। সত্যের পক্ষে লড়াই মানেই নিশ্চিত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই বিশ্বাস থেকেই আমরা বলি—সন্তু লারমা ও তার সশস্ত্র ক্যাডারদের অন্যায় তৎপরতা অচিরেই ইতিহাসের পাতায় স্থান পাবে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে। মিশন নোনাহাজি রুখতে পারবে না, পৃথিবীর কোন পরাশক্তি। সত্যর জয় অনিবার্য।