পার্বত্য খাগড়াছড়ির নাড়াইছড়িতে জেএসএস (সন্তু গ্রুপ)-এর সশস্ত্র অবস্থান ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। পানছড়ির পর এবার নাড়াইছড়িতেও সংগঠনের সামরিক কাঠামোতে চরম ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাঠে বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতি ও উজ্জীবনী বক্তব্য দিয়েও পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন জেএসএস নেতারা।
সম্প্রতি এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জেএসএস-এর কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা গহীন জঙ্গলে সঙ্গীদের সঙ্গে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকে বলছেন, এটি সংগঠনের সামগ্রিক দুরবস্থার প্রতীক।
স্থানীয়দের মতে, পানছড়িতে সামরিকভাবে চরমভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার পর নাড়াইছড়িতে নতুন করে ঘাঁটি গড়তে চেয়েছিল জেএসএস। কিন্তু সেখানে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে একের পর এক হতাহতের ঘটনায় মনোবল ভেঙে পড়ে দলের মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের। কেন্দ্রীয় নেতারা যে ‘মোটিভেশনাল’ ভাষণ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছিলেন, তাও ব্যর্থ হয়েছে।
জানা গেছে, নাড়াইছড়ি সংঘর্ষে এ পর্যন্ত জেএসএস পক্ষে ৭ থেকে ৮ জন নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকেই সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় পালিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন, কেউ কেউ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রাঙ্গামাটি বা দেশের বাইরে সরে যাচ্ছেন বলেও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
এ অবস্থায় জেএসএস-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিজে থেকেই নিরাপদ অঞ্চল ত্যাগ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি সন্তু গ্রুপের অস্তিত্ব সংকটের আরেকটি প্রকাশ, যা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।