খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া এলাকায় কয়েকজন সেটলার যুবক কর্তৃক গণধর্ষণের শিকার হয়ে এক পাহাড়ি কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা মেলার সময় ঘটলেও সম্প্রতি ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিবারের লোকজন তা জানতে পারে।
প্রাথমিক তথ্য ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পানছড়ি উপজেলার লতিবান এলাকার ওই কিশোরী ভাইবোনছড়ায় অনুষ্ঠিত রথ মেলায় ঘুরতে আসে। মেলা শেষে রাত হয়ে যাওয়ায় সে বাড়ি ফিরতে না পেরে নিকটবর্তী এক কাকার বাসায় উঠে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই দিন রাতে চারজন সেটলার যুবক তাদের বাসায় প্রবেশ করে। তারা ওই কিশোরী এবং ঘরে থাকা এক যুবকের বিরুদ্ধে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের মিথ্যা অভিযোগ তোলে। এরপর তারা যুবকটিকে বেঁধে রেখে কিশোরীটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর ওই কিশোরী মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও ভয়ে বা লজ্জায় বিষয়টি পরিবারকে জানাতে পারেনি। পরে সে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরলে সে পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটির বিস্তারিত জানালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ৬ জনের নাম উঠে এসেছে। এরা হলেন- ১। মোঃ মুনির ইসলাম, পিতা -লাল মিয়া,২। মোঃ আরমান ইসলাম, পিতা – আব্দু, ৩। মোঃ সাব্দাম হোসেন, ৪। মোঃ সোহেল ইসলাম, পিতা- নবীন মিস্ত্রি, ৫। মোঃ ইমন ইসলাম, পিতা- মো: আলম ইসলাম ও ৬। এনায়েদ হোসেন, পিতা- রুহুল আমীন। এরা অধিকাংশ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয়রা অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।