পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক গতিপথে নতুন করে আলোচনায় এসেছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। আন্দোলনের নামে কার্যত সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে টিকে থাকা এই দলটির ভূমিকা নিয়ে এবার সরব হয়েছে স্থানীয় জনগণ ও ভিন্নমতাবলম্বী শক্তিগুলো।
জেএসএস বর্তমানে নিজস্ব অবস্থান হারিয়ে এক ধরনের আধা-সরকারি মিলিশিয়া বাহিনীতে রূপ নিয়েছে-এমন অভিযোগ তুলেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি ইউপিডিএফ। তাদের ভাষ্যমতে, জেএসএস আন্দোলনের নামে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সেনাবাহিনীর কোলে বসে পড়েছে।
ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে পরাজয় ও সেনাশক্তির আশ্রয় সূত্র মতে, সাম্প্রতিক সময়েও ইউপিডিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে বারবার পিছু হটেছে জেএসএস। একাধিক ঘটনায় পরাজয়ের মুখোমুখি হয়ে এবার জেএসএসের স্বঘোষিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী করুণালংকার ঠাগুচ্ছে সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন ইউপিডিএফ দমন করতে। এই অবস্থানকে ‘আন্দোলনের চরম পরাজয়’ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
প্রশ্নের মুখে “জনগণের দল” দাবি
একটি রাজনৈতিক দল যখন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তখন তার আর “জনগণের দল” হয়ে থাকার নৈতিক ভিত্তি কোথায়- এ প্রশ্ন উঠেছে পাহাড়ি জনগণের মধ্যেও।
জেএসএসকে বয়কটের আহ্বান
এই প্রেক্ষাপটে ইউপিডিএফ ও তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক গণতান্ত্রিক সংগঠন আহ্বান জানিয়েছে—
জেএসএসকে বয়কট করুন, যারা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকার ও সেনা-সেটলার চক্রের হয়ে কাজ করছে।
যদি জেএসএস প্রকৃত আন্দোলনকারী হতো, তাহলে তারা কখনও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর শরণাপন্ন হতো না।
এই পরিস্থিতিতে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে ও আন্দোলনের ধারা পুনরুদ্ধারে জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে। জনগণের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হোক, ইউপিডিএফ-এর হাতে শক্তিশালী করুন।