মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের পাইন্দাপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর তল্লাশি ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় পাহাড়ি জনগণের মাঝে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭ জুলাই সকাল ৮টার দিকে মহালছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল নাফিজ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে আনুমানিক ৮০-৯০ জন সেনা সদস্যের একটি দল পাইন্দাপাড়ার “মোনে” নামক জুম এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে মার্মা জনগোষ্ঠীর অন্তত ১১টি পরিবার অস্থায়ীভাবে তেলপত্র ও পলিথিন দিয়ে নির্মিত জুম ঘরে অবস্থান করে হলুদের চাষ করে আসছিল।
সেনাবাহিনী ঘরগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং নিরীহ জুমচাষিদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই এলাকায় চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যায় এবং স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন।
এর আগে ২৫ জুলাই ভোর ৪টার দিকে সেনারা মাইসছড়ির জয়সেনপাড়া হয়ে দীপ্পছড়ি এলাকায় গমন করে এবং পরে পাইন্দাপাড়ায় অবস্থান নেয়। ২৯ ও ৩০ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর একাধিক দল মনিরামপাড়া (৪নং ওয়ার্ড) এবং সাথী পাড়া (৩নং ওয়ার্ড)-তে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানাগেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর টহল ও অভিযানজনিত কারণে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে এবং সাধারণ জনগণ চরম আতঙ্কে রয়েছে। নিরাপত্তার নামে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীরা।