ত্রিপুরা রাজ্যের চাকমা জনজাতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নিরপেক্ষ সামাজিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত ত্রিপুরা চাকমা সামাজিক পরিষদ সম্প্রতি বিতর্কের মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সংগঠনের আড়ালে জেএসএস সন্তুপন্থী প্রচারণা চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী—যাদের মধ্যে দেবজান চাকমা, শান্তি বিকাশ চাকমা (SBC), নিরঞ্জন চাকমা ও প্রকাশ চাকমার নাম বিশেষভাবে উঠে এসেছে।
গত ২০২৩ সালে আয়োজিত এক জনসভায় ত্রিপুরা রাজ্যের মাননীয় এমএলএ সম্ভুলাল চাকমা প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, ত্রিপুরা চাকমা সামাজিক পরিষদের নিরপেক্ষতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। দেবজান, শান্তি বিকাশ, নিরঞ্জনরা মূলত জেএসএস সন্তুপন্থীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিযুক্ত। মোটা অংকের বেতন নিয়ে তারা চাকমা সমাজকে বিভক্ত করছে।
চাকমা সমাজের একাধিক অংশ দাবি করেছে, যখন ত্রিপুরা রাজ্যের সচেতন জনজাতিরা জেএসএস-এর সন্ত্রাস, ভারতবিরোধী ষড়যন্ত্র, মাদক ও অস্ত্র পাচার, এবং বার্মিজ সিগারেট চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, পোস্টারিং, সেমিনার ও স্মারকলিপি পেশ করছে-ঠিক তখনই দেবজান-শান্তি বিকাশ গোষ্ঠী জেএসএস-এর হয়ে পক্ষপাতমূলক অবস্থান নিচ্ছে।
বিক্ষুব্ধ চাকমা নাগরিকরা বলছেন, যখন জনজাতিরা জেএসএস-কে বিতাড়িত করার দাবি জানাচ্ছে, তখন সামাজিক পরিষদের ভেতরে থাকা কিছু ব্যক্তি জেএসএস সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। তারা সমাজকল্যাণের জন্য নয়, সমাজ ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে।
এই গোষ্ঠী এবং (৪ চক্র) জেএসএস-এর অবৈধ কার্যক্রম-মাদক পাচার, অস্ত্র সরবরাহ-এ সক্রিয় সহযোগিতা করছে। তারা চাকমা সমাজের শত্রু এবং ভারতীয় আইনের দৃষ্টিতে অপরাধী।
চাকমা সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে দাবি উঠেছে, ত্রিপুরা চাকমা সামাজিক পরিষদের আড়ালে যারা জেএসএস সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। এই বিষয়ে তদন্ত করে দেবজান-শান্তি বিকাশ-নিরঞ্জনদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানানো হয়েছে প্রশাসনের প্রতি।