খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার নারাইছড়ি ডুলুছড়ি মৌনে ৫ আগস্ট স্থানীয় জনতার প্রতিরোধে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন তরুণ বিকাশ চাকমা সুপায়ন ওরফে নিকো (২৫)। স্থানীয় সূত্র দাবি করছে, তিনি জেএসএস (সন্তু) সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
বিকাশ চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ২নং চেঙ্গী ইউনিয়নের দূর্গা মনি পাড়ায়। পিতা নলাক মনি চাকমা, সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার; মাতা শ্যামলতা চাকমা। জন্ম ১২ আগস্ট ১৯৯৯ সালে। তিনি ছিলেন দুই জমজ ভাইয়ের একজন।
ঘটনার পর জেএসএস (সন্তু) তার মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ্যে অস্বীকার করেছে এবং মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি। ফলে শোকে ভেঙে পড়া পরিবার এখন অন্তত শুকনো সাতদিনের শোকানুষ্ঠান পালনের অনুমতির জন্য গ্রাম সমাজের দ্বারস্থ হয়েছেন।
স্থানীয়দের মতে, একজন ছেলের মৃত্যুর পরও তার মরদেহ দেখতে বা সৎকার করতে না পারা—যেকোনো পরিবারের জন্য এক নির্মম বাস্তবতা। “এটা শুধু মৃত্যুর শোক নয়, এটা সংস্কৃতি ও মানবিকতার প্রতি চরম অবমাননা,” বলেন এক গ্রামবাসী।
এই ঘটনার পর এলাকায় গভীর শোক ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—জেএসএস (সন্তু) JLA সশস্ত্র গ্রুপের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও জাত-ভিত্তিক বিরোধের বলি হয়ে কেন সাধারণ পরিবারগুলোকে এমন অমানবিক পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে?