খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ও ধুমনিঘাট এলাকায় “প্রশিক্ষণ কার্যক্রম” এর নামে সেনা টহল বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
মহালছড়ি জোন কর্তৃক জারি করা এক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— ১১ থেকে ১৬ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে উক্ত এলাকায় ফাঁকা ফায়ার ও অন্যান্য সামরিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিজ্ঞপ্তিতে জনগণকে “আতঙ্কিত না হওয়ার” অনুরোধ জানানো হলেও, সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় ফাঁকা ফায়ার হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের সামরিক মহড়া অনিরাপত্তা ও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে জুম চাষসহ দৈনন্দিন কাজের জন্য পাহাড়ি ও বনাঞ্চলে যাওয়া লোকজন বেশি শঙ্কিত। অনেকেই বলছেন, সময়, স্থান ও নিরাপত্তা নির্দেশনা আগে থেকে পরিষ্কারভাবে জানানো হলে ভয়-আতঙ্ক অনেকটা কমে যেত।
প্রশিক্ষণের ঘোষণার বাইরে বাস্তবে সেনা চলাচল আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে প্রায় ৬০–৭০ জন সেনা সদস্য ব্যাগ ও প্রশিক্ষণ সরঞ্জামসহ সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের ঠান্ডাছড়ি এলাকায় প্রবেশ করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
১১ আগস্ট থেকে টহল জোরদারের পর থেকেই এলাকায় সেনা উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণ যথাযথ তথ্য না পাওয়ায় গুজব ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সেনাবাহিনীর বিজ্ঞপ্তিতে “আতঙ্কিত না হওয়ার” আহ্বান থাকলেও মাঠ পর্যায়ে এর প্রভাব খুব একটা পড়েনি।