1. live@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ : পাহাড়ের কন্ঠ
  2. info@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ :
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খাগড়াছড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে বাড়ি পুড়ে ছাই ছাত্রলীগ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান হেমার অবস্থান রামগড়ে সেনা অভিযানের নামে দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত: হাইকোর্ট রামগড়ে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙারে বাহিনীর হাতে এক পাহাড়ি অপহৃত পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর হয়রানি মুলক অভিযানের বিরুদ্ধে সাজেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, সেনাবাহিনীর বাধা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)চবি শাখা নিখোঁজ সংবাদ গুইমারায় সেনা দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দীঘিনালার উল্টাছড়িতে সেনা অভিযান: ৬ জন আটক, পরে মুক্তি; ২ বাড়িতে তল্লাশি

সন্তু লারমার নতুন দুটি দল গঠনের অভিযোগ তুললেন গৌতম কুমার চাকমা

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ৪৬০ বার পড়া হয়েছে

সন্তু লারমার নতুন দুটি দল গঠনের অভিযোগ তুললেন গৌতম কুমার চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আবারও নেমে এসেছে অস্থিরতার ছায়া। দীর্ঘদিন ধরেই নানা চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিতর্কিত সন্তু লারমা এবার নাকি নতুন দুইটি দল গঠনের পরিকল্পনায় নেমেছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন তারই দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বর্তমান জেএসএস-এর সহ-সভাপতি গৌতম কুমার চাকমা ওরফে অশোক বাবু।

গৌতম কুমার চাকমা জানিয়েছেন, সন্তু লারমা এখন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং বাংলাদেশে দুটি আলাদা রাজনৈতিক দল গঠনের মাধ্যমে পাহাড়ি সমাজকে আবারও বিভক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। ভারতের ত্রিপুরায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে নতুন দল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার ঘনিষ্ঠ এক নাতনিকে। আর বাংলাদেশে ইউপিডিএফ থেকে দলছুট হয়ে আসা কিছু নেতাকে ব্যবহার করে নিরপেক্ষ ছাত্র সমাজকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।

রাজনৈতিক মহল বলছে, এই পদক্ষেপ সফল হলে পাহাড়ি রাজনীতিতে আবারও নতুন দুটি শক্তি তৈরি হবে, যার ফলে পুরনো বিভাজন আরও গভীর হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সন্তু লারমার এ পরিকল্পনা মূলত ব্যর্থ চুক্তি রাজনীতির হতাশা থেকে উদ্ভূত। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তিনি আজ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং এমন পর্যায়ে পৌঁছেছেন যে, নিজ জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েও অন্য কারো নেতৃত্ব গ্রহণযোগ্য হতে দেবেন না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ১৯৮০-পরবর্তী সময়ে পাহাড়ি সমাজে যে গ্রাম্য রাজনীতির ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে, তার অন্যতম জনক ছিলেন সন্তু লারমা নিজেই। তার স্বৈরতান্ত্রিক “এক বনে এক বাঘ” নীতির কারণে তাতিন্দ্রলাল চাকমা (পেলে বাবু)-এর মতো প্রবীণ নেতাদের সাথেও সংঘাত বাধে। পেলে বাবুর লেখায় উঠে এসেছে, সন্তু একসময় ১৭২ জন সম্মানিত চাকমা প্রবীণকে “জাতির শত্রু” আখ্যা দিয়ে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখনও সেই পুরনো ধারা বজায় রেখে তিনি পাহাড়ি সমাজকে ভাঙতে চাইছেন, এমনটাই অভিযোগ রাজনৈতিক মহলের। তাদের মতে, এই নতুন ষড়যন্ত্র সফল হলে জুম্ম সমাজে বিভাজন চরম আকার ধারণ করবে এবং পাহাড়ি ঐক্য চিরতরে ভেঙে পড়তে পারে।

সতর্কতামূলক বার্তা দিয়ে এক প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, নোনাহাজির (সন্তু লারমা) জাতবিধ্বংসী নীতির বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাহাড়ি জাতি আর কোনোভাবেই ভাঙন সহ্য করতে পারবে না। এখন সময় এসেছে বিভাজনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© পাহাড়ের কন্ঠ-২০২৫
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট