ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এবার প্রথমবারের মতো পাহাড়ি মেয়েদের অংশগ্রহণ আলোচনায় এসেছে। ক্যাম্পাসে সরব প্রচারণার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তারা দারুণ সাড়া ফেলছেন।
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। খাগড়াছড়ির পানছড়ির হেমা চাকমা কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর খাগড়াছড়ি সদরের সুর্মী চাকমা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক পদে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী রুপাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে। খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও রাজধানীর হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। সম্প্রতি জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে নারী শিক্ষার্থী হিসেবে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দেন। হামলা ও হেনস্তার শিকার হলেও পিছপা হননি বলে জানান রুপাইয়া।
হেমা চাকমা-
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা ও মিনতি চাকমার ছোট মেয়ে হেমা। বড় ভাই অমর প্রিয় চাকমা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা নেন স্থানীয় পুজগাংমুখ বনশ্রী শিশু নিকেতনে। পরে পুজগাংমুখ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ডাকসু নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুর্মী চাকমা নির্বাচনী বার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও শিক্ষার্থীবান্ধব করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি অনুষদে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া, পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও নারী-পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক কমনরুম নিশ্চিত করা জরুরি।
পাহাড়ের এই তরুণীরা ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়ে শুধু নেতৃত্বের মঞ্চে নিজেদের অবস্থান তৈরি করছেন না, বরং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করছেন।