আমি মনে করি, জেএসএস-এর এখন উচিত চুক্তির পথ থেকে বেরিয়ে এসে দ্বিতীয় পথ বেছে নেওয়া। কিন্তু প্রশ্ন হলো—জেএসএস-এর ভেতরে যারা এনজিওপন্থী, বিল্ডিংপন্থী ও তথাকথিত উন্নয়নপন্থী, তারা কি সেই ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত?
যদি জেএসএস নেতৃত্ব সত্যিই সাহস, দূরদর্শিতা ও আত্মত্যাগ প্রদর্শন করতে পারে, তবে হাজার হাজার তরুণ নতুন করে মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
পাহাড়িদের অধিকার দেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো দিনই আন্তরিক ছিল না, এখনও নেই। যদি আন্তরিকতা থাকত—
চুক্তি বাস্তবায়নে তারা উদ্যোগী হতো,
চুক্তির ফাঁকফোকরগুলো সংশোধন করত,
সাংবিধানিক বৈধতা দিত।
কিন্তু রাষ্ট্র তা করেনি। বরং বারবার ছলনা করেছে।
রাষ্ট্র যদি আন্তরিকভাবে চুক্তি বাস্তবায়ন করত, তবে ইউপিডিএফ-এর দাবির যৌক্তিকতা টিকত না। বহু বছর ধরে তারা পার্বত্য চুক্তিকে “মূলা চুক্তি” আখ্যা দিয়ে আসছে—রাষ্ট্রের ভণ্ডামির কারণেই সেই অভিযোগ আজও টিকে আছে।
বাস্তবতা হলো—এই রাষ্ট্র, প্রত্যেকটি সরকার এবং বাঙালি জাতির সিংহভাগ পাহাড়িদের সঙ্গে কেবল ছলনা করেছে। তাই প্রশ্ন জাগে: পাহাড়িরা কি এখনও এই ব্যর্থ চুক্তির আশায় বসে থাকবে, নাকি সাহসের সাথে দ্বিতীয় পথ বেছে নেবে?