খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নাড়াইছড়ি এলাকায় সেনাবাহিনী ‘অস্ত্র উদ্ধার’ নাটকের পরিকল্পনা করছে বলে স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রায় ৭০ জন সেনা সদস্য নাড়াইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া ধনপাদা এলাকার পাকুজ্জেছড়ি, ধীরেন্দ্র ঘাট ও বর্বোপাড়ায় মাইনী নদীর তীরে আরও একটি সেনাদল অবস্থান করছে।
এর আগে ২৫ আগস্ট দীঘিনালা সেনা জোন ও জারুলছড়ি সাবজোন থেকে প্রায় ৮০ জন সেনা পাকুজ্জেছড়ি এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে আরও ৫টি গাড়িতে একটি দল যুক্ত হয়। ২৬ আগস্ট সেনাদের আরেকটি দল স্থানীয়দের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০টি ইঞ্জিনচালিত বোট নিয়ে নাড়াইছড়িতে প্রবেশ করে।
স্থানীয়দের দাবি, অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের সশস্ত্র সদস্যদের মোবাইলে যোগাযোগ রয়েছে। বর্তমানে ওই গ্রুপের সদস্যরা সেনাদলের কাছাকাছি অবস্থান করছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে এক পাহাড়ি বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ক্যাপ্টেন পরিচয় দেওয়া মো. আরাফাত নামের একজন সেনা কর্মকর্তা তাকে দু’টি নাম্বার (01869971524, 01841302628) থেকে কল করে ইউপিডিএফ সদস্যদেরকে সন্তু গ্রুপের কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন এবং তথ্য দিলে “সুযোগ-সুবিধা” দেওয়ার আশ্বাস দেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সেনারা আগামী রবিবার পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান করতে পারে। তার আগে শনিবার ‘অস্ত্র উদ্ধার’ নাটক সাজিয়ে রবিবার তা মিডিয়ায় প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে বাবুছড়া ও জারুলছড়ি ক্যাম্পের চেকপোস্টসহ ধনপাদা-পাকুজ্জেছড়ি এলাকায় মাইনী নদীর তীরবর্তী অস্থায়ী চেকপোস্টে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে মালামাল যাতায়াতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।