পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময়ে নানা দল ও সংগঠন গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
জেএসএস (সন্তু গ্রুপ)
এম এন লারমা দল
গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ/কেএনএফমগ)
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (সংক্ষেপে ইউপিডিএফ)
এগুলোর মধ্যে ইউপিডিএফ দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি জনগণের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রতিবাদ ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
১৯৯৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ইউপিডিএফ প্রায় সব বড় আন্দোলনে সরব ছিল।
রাস্তায় ব্যানার–ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রতিবাদ
পাহাড়ি মা–বোনের সম্মান রক্ষার দাবি
ভূমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
লগাং গণহত্যা, লংগদু গণহত্যা ও কল্পনা চাকমা অপহরণের প্রতিবাদ
এসব ক্ষেত্রেই ইউপিডিএফকে সামনের সারিতে দেখা গেছে।
যখন অধিকাংশ সংগঠন নীরব থেকেছে, তখন ইউপিডিএফ সংগ্রাম থেকে পিছিয়ে যায়নি। গুলি খেয়েছে, নেতা–কর্মী নিহত হয়েছে, অনেকে নিখোঁজ হয়েছে, তবুও তারা সংগ্রাম চালিয়ে গেছে।
আজও পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা হলো— সরকার অনেক সংগঠনকে ব্যবহার করে, কিন্তু ইউপিডিএফকে ভাঙতে ও দুর্বল করতে নানান ষড়যন্ত্র করে। কারণ, তারা জানে ইউপিডিএফ-ই একমাত্র সংগঠন যাকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
তবুও, ইতিহাস সাক্ষী—
যতই ষড়যন্ত্র হোক, ইউপিডিএফকে নিঃশেষ করা সম্ভব নয়।
কারণ জনগণের শক্তিই তাদের শক্তি।
জয় একদিন হবেই।