আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ভূবন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা বলেন, গত ৩০ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেইট মাছ বাজার সংলগ্ন ভাড়া বাসায় ফিরলে এক নারী শিক্ষার্থী বাসার দারোয়ানের হাতে গালিগালাজ ও মারধরের শিকার হন। ভুক্তভোগীর বন্ধুরা তাকে রক্ষা করতে গেলে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। পরে ঘটনাটি ব্যাপক আকার ধারণ করে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, ঘটনাটি শুরু থেকে প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং উপাচার্য দায় এড়িয়ে গেছেন। চবি মেডিকেল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী ১৫০০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন, ৫০০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং অন্তত ১০ জন আশঙ্কাজনক (২ জন আইসিইউতে)। এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পর্যাপ্ত আবাসন ও নিরাপত্তা না থাকায় বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতা তাদের পদে বহাল থাকার নৈতিক ভিত্তি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আমাদের দাবিসমূহঃ
১. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
২. শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে প্রক্টরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে।
বার্তা প্রেরক:
শিউলি ত্রিপুরা
তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা