ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে:
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে আমি ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলাম। সত্য হলো—নামমাত্র অন্তর্ভুক্তি ছিল, কিন্তু আমি কখনো ছাত্রলীগের কার্যক্রম বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হইনি। কেউ প্রমাণ দিলে আমি নির্বাচন থেকে সরে যাব।
২০২২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় অভিজ্ঞতার কারণে নাম লেখা হয়েছিল। তারপরও আমি কখনো ছাত্রলীগের সুবিধা নিইনি। আমার বিবেকবোধ সবসময় দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে:
১৫ জুলাই আমি ঢাকায় উপস্থিত ছিলাম না, তাই সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারিনি। তবে নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে আন্দোলনকে সমর্থন করেছি—শিক্ষার্থীদের ঘোষণাগুলো শেয়ার করেছি, প্রোফাইল লাল করেছি এবং পাহাড় থেকে সমতলে বাহিনীকে ফেরার দাবি তুলেছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দেশের সকল জনগণের অর্জন।
ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার:
আমার বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং ও অপপ্রচার চলছে। আমাকে ভারতপন্থী, রাজাকার বা পাকিস্তানপন্থী বলা হচ্ছে। আমি বরাবরই বলেছি—৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান সবার, জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে।
আহ্বান:
ডাকসুকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক কণ্ঠস্বর হিসেবে গড়ে তুলতে ৯ সেপ্টেম্বর সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আসুন, আমরা বহু জাতি ও সংস্কৃতির অংশগ্রহণে বৈষম্যহীন সুন্দর বাংলাদেশ গড়ি।