1. live@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ : পাহাড়ের কন্ঠ
  2. info@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ :
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খাগড়াছড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে বাড়ি পুড়ে ছাই ছাত্রলীগ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান হেমার অবস্থান রামগড়ে সেনা অভিযানের নামে দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত: হাইকোর্ট রামগড়ে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙারে বাহিনীর হাতে এক পাহাড়ি অপহৃত পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর হয়রানি মুলক অভিযানের বিরুদ্ধে সাজেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, সেনাবাহিনীর বাধা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)চবি শাখা নিখোঁজ সংবাদ গুইমারায় সেনা দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দীঘিনালার উল্টাছড়িতে সেনা অভিযান: ৬ জন আটক, পরে মুক্তি; ২ বাড়িতে তল্লাশি

রামগড়ে সেনা অভিযানের নামে দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১২৫ বার পড়া হয়েছে

রামগড়ে সেনা অভিযানের নামে দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা অভিযানের নামে স্কুলভবন দখল করে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন, গ্রামে নির্বিচারে তল্লাশি, নারীদের সাথে অসদাচরণ, লুটপাট, ধরপাকড় ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করার প্রতিবাদে রামগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম।

সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার দাতারামপাড়া মুখ এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে যৌথ খামার এলাকায় সমাবেশে মিলিত হয়।

নেতাদের বক্তব্য

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পিসিপি রামগড় উপজেলা শাখার সভাপতি তৈমাং ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেশ ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি ধনু ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক শান্ত চাকমা।

শান্ত চাকমা অভিযোগ করেন, “গ্রামে গ্রামে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে, মানুষকে আটক-হয়রানি করা হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করা হচ্ছে। সেনারা যদি সত্যিই নিরাপত্তার জন্য কাজ করতো তবে স্কুল দখল না করে শিক্ষা বিস্তারে সহায়তা করত।”

তৈমাং ত্রিপুরা বলেন, “আমরা এই দেশের নাগরিক হয়েও বারবার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সেনা অভিযানের নামে ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দলিলপত্র ও অর্থ লুট করা হচ্ছে।”

ধনু ত্রিপুরা জানান, “অভিযানের কারণে কৃষকরা ক্ষেতে যেতে পারছে না, শ্রমজীবীরা কাজ হারাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে গেছে। নারীরা অতীতের মতো নির্যাতন ও অপহরণের ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

বক্তারা বলেন, ইউপিডিএফ সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। অথচ সেনারা প্রকৃত সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে টার্গেট করছে।

হামলা ও অপহরণের ঘটনা

সমাবেশ শেষে নাকাবা বাজারে ফেরার পথে সেনা-সমর্থিত মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা অস্ত্র তাক করে গাড়িবহর আটকায়। এসময় তারা গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি ধনু ত্রিপুরার ওপর হামলার চেষ্টা চালায় এবং বাসনা মোহন চাকমা নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

সমাবেশে উপস্থিতরা একযোগে ঘোষণা দেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ আর দমন-পীড়ন মেনে নেবে না। সেনা অভিযান ও অস্থায়ী ক্যাম্প অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© পাহাড়ের কন্ঠ-২০২৫
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট