খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের তৈকর্মা পাড়া থেকে অপহৃত মংসা মারমা (২৮) অপহরণের ৩২ ঘণ্টা পর মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৬ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেয়। তিনি স্থানীয় ধুংগ্য মারমার ছেলে।
অপহরণের খবরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় মুরুব্বীরা গুইমারা বাজারে গিয়ে সন্দেহভাজন ঠ্যাঙাড়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে মংসা মারমা মহালছড়ি-জালিয়া পাড়া সড়কের পাশে বাড়ির কাছেই ফিরে আসেন। তিনি জানান, অপহরণকারীরা চোখ বেঁধে সিএনজি অটোরিকশায় প্রায় এক ঘণ্টা দূরে নিয়ে যায় এবং কিছুটা পথ হেঁটে জঙ্গলে আটকে রাখে।
তার ভাষায়, “অপহরণকারী ৬ জনের মধ্যে অন্তত দু’জন মারমা ছিল। তবে সবাই বাংলায় কথা বলেছে। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করছিল, এলাকায় কোথাও চুরি করেছি কিনা। আমি অন্তত চারজনের কাছে ভারী অস্ত্র দেখেছি।”
মংসার দাবি, শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রামগড় এলাকার একটি অচেনা স্থানে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে অপহরণকারীদের কাছে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে সেই বন্ধু স্থানটির নাম জানাতে পারেননি।
অন্যদিকে শনিবার সকালে সিন্দুকছড়ি সেনা জোন থেকে মংসাকে ফোন করে দেখা করতে বলা হয়। তিনি অসুস্থতার কথা জানালে সুস্থ হওয়ার পর হাজির হতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত অপহরণকারীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।