1. live@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ : পাহাড়ের কন্ঠ
  2. info@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ :
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পানছড়ি লোগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের হোস্টেলে জেএসএস (সন্তু) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দখল করে অবস্থান নিয়েছে, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত। বন সংরক্ষণ আইন অপব্যবহার: পাহাড়িদেরকে দমনের কৌশল বদলে গেছে। ৪ জন নিহতের ঘটনা গুজব: ইউপিডিএফ দীঘিনালায় ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে গোলাগুলিতে ৪ ইউপিডিএফ সদস্য নিহত হওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা দীঘিনালায় জেএসএস-ইউপিডিএফ গোলাগুলি ও নিহতের খবর ভুয়া! সেনা নির্ভরতায় জেএসএস সন্তু লারমার নেতৃত্বে ‘আন্দোলন’ কি প্রশ্নের মুখে। ধনপাদা -নাড়াইছড়িতে সেনাবাহিনী ভয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো চলাচল বন্ধ মানিকগঞ্জে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া সেই শিক্ষা অফিসারকে বান্দরবানে বদলী করায় দুই নারী সংগঠনের নিন্দা ও প্রতিবাদ সাজেকে লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল, খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি মানিকগঞ্জে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া সেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে বান্দরবানে বদলি!

সন্তু লারমা সরকারের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে স্বজাতি হত্যা করছেন।

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
  • ২১৯ বার পড়া হয়েছে

গত তিন দশক ধরে বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে আসছে। সরকারের নথি ও বাজেট বিবরণ অনুযায়ী, প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় এই অঞ্চলের অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই অর্থের বাস্তব ব্যবহার কোথায় ? বাস্তবতার নিরিখে আমরা দেখছি, এই বরাদ্দকৃত অর্থে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের জীবনমানের কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। মূলতঃ এই অর্থ বরাদ্দ হয়, সন্তু লারমার জন্য‌।

এই তিন দশকে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের দাবি থাকলেও, পার্বত্য চট্টগ্রামে আজও নেই একটি মানসম্পন্ন হাসপাতাল, নেই একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একবিন্দু উন্নয়নের অবকাঠামো। দূর্ভাগ্যজনকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ এখনও চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে, খাদ্যের অভাবে অনাহারে ভুগছে। এই বৈষম্যের পেছনে যে জটিল দুর্নীতির চক্র কাজ করছে, তা পুরোপুরি স্পষ্ট।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই বিপুল অর্থের একটি বড় অংশ ব্যয় হয়েছে তথাকথিত রাজনৈতিক নেতাদের বিলাসবহুল জীবন যাপনের পেছনে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা ও তাঁর অনুসারীরা এই উন্নয়ন বরাদ্দের একটি অংশ নিজেদের সুবিধা ও প্রভাব বিস্তারের কাজে ব্যয় করেন। অন্যদিকে, পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সব দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাও সন্তু লারমার সঙ্গে এই অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে যুক্ত।

সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, জনগণের উন্নয়নের অর্থ সন্তু লারমা এবং জেএসএস নেতাকর্মীরা ব্যবহার করে আসছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করতে, বিরোধী কণ্ঠ দমন করতে। সন্তু লারমা ও তাঁর দল বছরের পর বছর এই অর্থ দিয়ে ইউপিডিএফ ও অন্যান্য ভিন্ন মতাবলম্বী গোষ্ঠীর উপর দমনমূলক ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে চরমভাবে অবজ্ঞা করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের নিশ্চুপ করে দেওয়ার জন্য এই তহবিল ব্যবহার করে আসছে। পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের অর্থ দিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিনে স্বজাতির সঙ্গে গৃহযুদ্ধ পরিচালনা করছে তারা।

সার্বিকভাবে, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের নামে সরকারের অর্থ বরাদ্দ বাস্তব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় না হয়ে একটি নিয়ন্ত্রিত, দুর্নীতিপূর্ণ, দমনমূলক ব্যবস্থার পেছনে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা এবং প্রকৃত উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© পাহাড়ের কন্ঠ-২০২৫
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট