আমরা বারবার অতীতের শত্রুতা, ভুল বোঝাবুঝির জন্য কিংবা সেই সুত্র ধরে সংঘাতকে আঁকড়ে ধরি, আর সেই পুরনো ক্ষত নিয়ে নিজেদের মধ্যেই মারামারিতে লিপ্ত হই—তাহলে ধ্বংস অনিবার্য। তাতে কারো প্রতিশোধের আগুনও নিভবে না, বরং আরও দাউ দাউ করে জ্বলবে। প্রশ্ন হলো, তাহলে অধিকার আদায়ের চিন্তা আমরা কখন করবো ? শাসকগোষ্ঠীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তুলবো কখন ?
এই সরল কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি সন্তু লারমার মতো একজন দীর্ঘদিনের তথাকথিত নেতার বুঝতে ব্যর্থতা আমাদের হতাশ করে। তার নেতাকর্মীরা নিজেদের স্বপ্নদ্রষ্টা বলে দাবি করেন, অথচ বারবার নিজ সম্প্রদায়কে অতীতের ভুল আর বিভক্তির ধোঁয়াশায় রেখে গেছেন, তিনি কীভাবে প্রকৃত নেতা হতে পারেন?
নেতৃত্ব মানে শুধু অতীত নিয়ে কথা বলা নয়, নেতৃত্ব মানে ভবিষ্যতের জন্য পথ দেখানো, বিভক্তি নয়—ঐক্য গড়ে তোলা। আমরা যারা স্বপ্ন দেখি একটি সম্মানজনক, মর্যাদাসম্পন্ন, বৈষম্যহীন ভবিষ্যতের—তাদের কাছে সন্তু লারমার মতো নেতৃত্ব অচল, সময়ের দাবি মেটাতে ব্যর্থ।
সন্তু লারমা যদি সত্যিই জনগণের স্বপ্নদ্রষ্টা হতেন, তবে তিনি আমাদের বিভাজনের বীজ বপন করতেন না, বরং ঐক্যের ভিত গড়ে তুলতেন।