নোনাহাজি(সন্তু লারমা) ও তার নেতৃত্বাধীন জেএসএস পতনের কারণ কি ? এর থেকে শিক্ষা কি ?
জ্ঞানী ও সৎ মানুষ সর্বদা প্রতিশোধের পরিবর্তে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়াকে শ্রেয় মনে করেন। তাদের দৃষ্টি থাকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের দিকে, যেখানে আত্মউন্নয়ন, ন্যায় ও বৃহত্তর কল্যাণই মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু ইতিহাসের নিরিখে দেখা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতি ও বিপ্লবের অঙ্গনে যারা নেতৃত্বে ছিলেন—বিশেষ করে সন্তু লারমা এবং তার অনুসারীরা—তারা অনেক সময় ব্যক্তিগত অভিমান, প্রতিহিংসা ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। ফলে তাঁদের আন্দোলন জাতীয় স্বার্থের ভিত্তি থেকে সরে গিয়ে অনেকাংশে প্রতিশোধের রাজনীতিতে পর্যবসিত হয়েছে।
এই প্রতিশোধপরায়ণতা কেবল নেতৃত্বকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং পুরো পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, অগ্রগতি এবং জাতীয় সংহতিকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থরক্ষার নামে যারা নিজেরা ব্যক্তিস্বার্থে জড়িয়ে পড়েন, তারা নিজের অর্জন তো হারানই, সেইসঙ্গে জাতির উন্নয়নের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ান।
সুতরাং, একটি আন্দোলনের প্রকৃত মূল্যায়ন তখনই ইতিবাচক হয়, যখন তা প্রতিহিংসা নয়, বরং বৃহত্তর কল্যাণ ও সমন্বয়ের পথে পরিচালিত হয়। নেতৃত্বের দায়িত্ব শুধু নেতৃত্ব দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দূরদর্শিতার মধ্য দিয়েই তা সত্যিকার অর্থে সফল হয়।