রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের উজোবাজার এলাকায় ‘সাজেক কলেজ’ নির্মাণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপকে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন এবং গণবিরোধী সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
গতকাল রোববার (১৫ জুন) পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অমল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সাজেকের জনগণকে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র।”
বিবৃতিতে জানানো হয়, গত শুক্রবার (১৩ জুন) বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার সাজেক ইউপি কার্যালয়ে এক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ইউপি সদস্য এবং বাঘাইহাট বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং সাজেক কলেজের নির্মাণকাজ এক মাসের জন্য বন্ধ রাখার পাশাপাশি নির্মাণাধীন জমিতে বন বিভাগের সাইনবোর্ড স্থাপনের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে পিসিপি নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসন ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে যেখানে পার্বত্য এলাকায় নির্বিচারে সড়ক নির্মাণ, সামরিক ক্যাম্প স্থাপন ও বিলাসবহুল পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই, সেখানে জনগণের উদ্যোগে স্থাপিত একটি কলেজ নির্মাণে বাধা দেওয়া সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট ও বৈষম্যমূলক।”
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, “যেখানে সরকারের দায়িত্ব হলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ বিস্তার করা, সেখানে জনগণ নিজেদের সংগঠিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাইলেও বাধা আসছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে, যা দুরভিসন্ধিমূলক।”
‘সাজেক কলেজ’কে অর্ধলক্ষাধিক স্থানীয় জনগণের স্বপ্ন বলে উল্লেখ করে পিসিপি অবিলম্বে প্রশাসনের ‘বাধা প্রদান’ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।