সন্তু লারমা নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও আত্মঘাতী রাজনীতির –
অযোগ্য ব্যক্তিরাই প্রায়শই সামান্য সুযোগ-সুবিধায় তুষ্ট থাকে—এই বাস্তবতার জীবন্ত উদাহরণ সন্তু লারমা। পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জাতিসত্তাগুলোর দীর্ঘদিনের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ন্যায্য অধিকারের সংগ্রামকে তিনি পরিণত করেছেন একটি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক সুবিধায় আত্মসমর্পণের কাহিনিতে।
শাসকগোষ্ঠীর দেওয়া সামান্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদটির জন্য তিনি গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিসত্তার স্বার্থকে বিসর্জন দিলেন। এই ভূখণ্ডের ঐতিহাসিক অধিকার, সংস্কৃতি ও জাতিগত বৈচিত্র্যকে তিনি নিজের ক্ষমতা ও প্রভাব ধরে রাখার বিনিময়ে বিপন্ন করে তুলেছেন। অধিকন্তু, ভূমি প্রশ্নে তার অবস্থান পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বাঙালি সেটেলারদের হাতে হস্তান্তরের পথকে সুগম করেছে, যা পাহাড়ি জনগণের জন্য এক সুদূরপ্রসারী অস্তিত্ব সংকটের সৃষ্টি করেছে।
আরো দুঃখজনক হলো, সন্তু লারমা তার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে যে গৃহযুদ্ধের রাজনীতি লালন করছেন, তা পাহাড়ি সমাজে বিভক্তি, হানাহানি এবং নিরাপত্তাহীনতার জন্ম দিয়েছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে তিনি নিজের স্বার্থ ও গদির রাজনীতি করে চলছেন আজো, যা একজন নেতার চেয়ে একজন সুবিধাবাদী রাজনীতিকের পরিচয় বহন করে।
সন্তু লারমা ইতিহাসে একজন প্রাজ্ঞ নেতা হিসেবে নয়, বরং স্বজাতিকে ছুরিকাঘাতকারী এক আত্মঘাতী চরিত্র হিসেবেই স্মরণীয় থাকবেন—যিনি নিজের জনগণের অধিকারের পরিবর্তে শাসকগোষ্ঠীর দয়া-দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা বেছে নিয়েছেন। ইতিহাস সন্তু লারমার বিচার করবে, সময়ের অপেক্ষা।