পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও রাজনৈতিক বিভাজনের পেছনে ‘যুদ্ধনীতি, সন্ত্রাস ও ঐক্যবিরোধী’ অবস্থানের জন্য জেএসএস (সন্তু গ্রুপ)-এর নেতৃত্বাধীন কর্মকাণ্ডকে দায়ী করছে সাধারণ জনগণ ও বিভিন্ন ঐক্যপন্থী মহল।
জনমতের ভাষ্য, সন্তু লারমা দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে যুদ্ধ ও বিভক্তির রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে পাহাড়ি জনগণের বহু অর্জন ও সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
“সন্তু লারমার যুদ্ধনীতি, সন্ত্রাস, ঐক্যবিরোধী ও জাতবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপামর জনগণের সংগ্রাম করা এখন সময়ের অনিবার্য দাবি,”- বলেন এক যুব সমাজ সংগঠক।
বিশেষত, ইউপিডিএফ ও অন্যান্য শক্তিগুলো সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করছে বলেই দাবি করা হয়। ইউপিডিএফের এক কর্মী বলেন, “আমরা আক্রমণ করছি না, আমরা আত্মরক্ষা করছি। আমাদের সেই অধিকার যেমন আছে, তেমনি রয়েছে সেই সক্ষমতাও।”
জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আজ দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা জুম্ম জনগণ—বাংলাদেশ, ভারত, কোরিয়া, ফ্রান্স, কানাডা, জাপান, সুইজারল্যান্ড ও আমেরিকায় বসবাসরত প্রবাসী পাহাড়িরাও ঐক্য রক্ষার পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠছেন।
তারা মনে করেন, “পুরো বিশ্ব যখন জুম্ম জাতির ঐক্যের পক্ষে, তখন একজন ব্যক্তি-সন্তু লারমা-তার আত্মকেন্দ্রিক/জাত বিরোধী /যুদ্ধবাজ অবস্থান থেকে পুরো জাতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারেন না।”
আপামর জনগণের মতে, “একজন ঐক্যবিরোধী ও জাতিবিরোধী নেতাকে সামাজিকভাবে একঘরে করে রাখা সময়ের দাবি।”
এই প্রেক্ষাপটে, জুম্ম সমাজে আহ্বান জানানো হচ্ছে— সন্তু লারমার জাতিবিরোধী কর্মকাণ্ড বয়কট করুন। ঐক্যের পক্ষে দাঁড়ান। প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। “জুম্ম জনগণের অস্তিত্ব বিলীন হতে দেওয়া যাবে না। এই সংগ্রাম অস্তিত্বের, ঐক্যের এবং ভবিষ্যতের।”
❝সন্তু লারমার জাতবিরোধী রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এখন সময়ের দাবি❞
পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ যুগ যুগ ধরে লড়াই করে এসেছে নিজেদের অধিকার, সম্মান ও আত্মপরিচয়ের জন্য। কিন্তু আজ সেই আদিবাসীরা এক গভীর সংকটের মুখোমুখি-এই সংকট বাইরের শত্রুর নয়, বরং ভিতরের বিশ্বাসঘাতকতার, এক আত্মঘাতী রাজনীতির, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সন্তু লারমা।
সন্তু লারমা তার তথাকথিত নেতৃত্বে এক সময় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন পাহাড়ি জাতিসত্তার অধিকার নিশ্চিত করার। কিন্তু বাস্তবে তিনি পরিণত হয়েছেন এক ঐক্যবিরোধী, জাতবিরোধী এবং সশস্ত্র যুদ্ধনির্ভর বিভাজনমূলক রাজনীতির পুরোধায়। তাঁর দল জেএসএস (সন্তু) এখন রাজনৈতিক মতভেদ নয়, অস্ত্রের জোরে ভিন্নমত দমন করতে চায়। অথচ ঐক্য ও সমঝোতার পথেই মিলতে পারত প্রকৃত বিজয়। কিন্তু তিনি জুম্ম জনগণকে বিশ্বাস করে না তিনি বিশ্বাস করে সেনা-শাসকগোষ্ঠীকে। এখনেই প্রকৃত দ্বন্দ্ব নিহিত রয়েছে।
ইউপিডিএফ তাদের উপর সংঘটিত আক্রমণের প্রতিরোধ করছে, কোনো আগ্রাসী যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে না। আত্মরক্ষা করা প্রতিটি নাগরিক/ দলের ও নৈতিক অধিকার। জেএসএস সন্তু গ্রুপ যখন ঐক্যবদ্ধ পাহাড়ি রাজনীতির বদলে বিভেদ সৃষ্টি করছে, তখন প্রতিরোধই হয়ে উঠেছে দায়িত্ব।
বিশ্বজুড়ে—ভারত, কোরিয়া, ফ্রান্স, কানাডা, জাপান, সুইজারল্যান্ড ও আমেরিকায়—যেসব জুম্ম প্রবাসী রয়েছেন, তারাও এখন ঐক্যপন্থী অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র সন্তু লারমার রাজনৈতিক গোঁজামিল ও ক্ষমতার লালসার কারণে সমগ্র জুম্ম জাতিগোষ্ঠী আজ বিভ্রান্ত, সংকটাপন্ন। এই এক ব্যক্তির স্বার্থরক্ষামূলক পদক্ষেপের কারণে একটি জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে না।
অতএব, সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার—
সন্তু লারমার জাতবিরোধী কর্মকাণ্ডকে বয়কট করুন।
তাকে রাজনৈতিকভাবে একঘরে করুন।
ঐক্যের পক্ষে দাঁড়ান, বিভেদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
জুম্ম জনগণের উপর আর কোনো ছিনিমিনি খেলা চলতে দেওয়া যায় না।