1. live@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ : পাহাড়ের কন্ঠ
  2. info@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ :
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পানছড়ি লোগাং উচ্চ বিদ্যালয়ের হোস্টেলে জেএসএস (সন্তু) সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দখল করে অবস্থান নিয়েছে, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত। বন সংরক্ষণ আইন অপব্যবহার: পাহাড়িদেরকে দমনের কৌশল বদলে গেছে। ৪ জন নিহতের ঘটনা গুজব: ইউপিডিএফ দীঘিনালায় ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে গোলাগুলিতে ৪ ইউপিডিএফ সদস্য নিহত হওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা দীঘিনালায় জেএসএস-ইউপিডিএফ গোলাগুলি ও নিহতের খবর ভুয়া! সেনা নির্ভরতায় জেএসএস সন্তু লারমার নেতৃত্বে ‘আন্দোলন’ কি প্রশ্নের মুখে। ধনপাদা -নাড়াইছড়িতে সেনাবাহিনী ভয়ে ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো চলাচল বন্ধ মানিকগঞ্জে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া সেই শিক্ষা অফিসারকে বান্দরবানে বদলী করায় দুই নারী সংগঠনের নিন্দা ও প্রতিবাদ সাজেকে লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল, খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি মানিকগঞ্জে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়া সেই শিক্ষা কর্মকর্তাকে বান্দরবানে বদলি!

খাগড়াছড়িতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে পিসিপি-এইচডব্লিউএফের সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

খাগড়াছড়িতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে পিসিপি-এইচডব্লিউএফের সমাবেশ

চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদসহ নিহতদের স্মরণে খাগড়াছড়িতে ছাত্র ও গণসমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ)।

আজ ১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশের ব্যানার শ্লোগান হলো- “ফ্যাসিবাদ হটাতে আত্মোৎসর্গকারী শহীদ আবু সাঈদকে স্যালুট!, অভিযানের নামে সেনা দমন পীড়ন বন্ধ কর, পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর”।

সমাবেশ শুরুর পূর্বে শহীদ আবু সাঈদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

সমাবেশে পিসিপি নেতা অনিমেষ চাকমা’র সভাপতিত্বে ও তৃষ্ণাকর চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক এন্টি চাকমা।

কণিকা দেওয়ান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আবু সাঈদকে হত্যার মতো ঘটনা পাহাড়েও ঘটছে। কিন্তু সেগুলো দেশে প্রচার হয় না। জুলাইয়ের শহীদদের আমরা সম্মান করি এবং সকল ধরনের ফ্যাসিবাদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরাও সংহতি জানিয়ে এসেছি। সারাদেশে যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন পাহাড়ে ও সমতলে আমাদেরও ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পাহাড়িদের সম্পূর্ণ সমর্থন ও  অংশগ্রহণ ছিল। তারপরেও পাহাড়ে আমরা এখনো পর্যন্ত বৈষম্য দেখতে পাই। স্বৈরাচার হটাতে পাহাড়ের মানুষ সমতলের মানুষদের সাথে একাত্ম ছিল। কিন্তু পাহাড়ে কেন এখনো অন্যায় দমন-পীড়ন ও রাজনৈতিক সমস্যাকে জিইয়ে জারি রাখা হয়েছে?

এন্টি চাকমা বলেন, সারাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দমন-পীড়ন ও আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা-নির্যাতন ও নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের কারণে চব্বিশের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় হাসিনাকে চরম পরিস্থিতি মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২০২৪ সালের আজকের এই দিনে পুলিশ আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে আরো বেশি জোরালো করে তোলে। হাসিনা সরকার পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সকল রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে নির্বিচারে হত্যা, নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েও গণঅভ্যুত্থান ঠেকাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এই গণঅভ্যুত্থান থেকে দেশের সকল ফ্যাসিস্ট চরিত্রসম্পন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো ফ্যাসিস্ট সেনাশাসন রয়ে গেছে। পাহাড়ের মানুষ এখনো সেনাবাহিনীর ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ছিল বৈষম্য ও নিপীড়নমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনের। কিন্তু আমরা দেখছি পাহাড়ি জনগণ এখনো নিপীড়ন ও বৈষম্য থেকে মুক্ত হতে পারেনি। সেনা অভিযানের নামে প্রতিনিয়ত দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।

তিনি অবিলম্বে পাহাড়ে সেনা অভিযানের নামে দমন পীড়ন বন্ধ করা, সেনাশাসনের অবসান এবং প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

অনিমেষ চাকমা বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণ সংগ্রাম করে এসেছে। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে পাহাড়ি শিক্ষার্থী-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও ভূমিকা ছিল। কিন্তু এরপরও পাহাড়ে এখনো সেনাশাসন জারি রাখা হয়েছে। ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন থেকে পাহাড় এখনো মুক্ত হতে পারেনি।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে মাঠে নামিয়ে আবু সাঈদসহ শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করার পরও চব্বিশের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারেনি। কোটা সংস্কার আন্দোল শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়ে হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরবর্তী দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পরপরই চব্বিশের সেপ্টেম্বর মাসের ১৯-২০ তারিখে দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙাামটিতে পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনী নির্বিচার গুলি চালিয়ে জুনান চাকমা ও রুবেল ত্রিপুরাকে হত্যা করে। দীঘিনালায় ধনরঞ্জন চাকমা ও রাঙামাটিতে অনিক চাকমাকে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনার এখনো কোন বিচার হয়নি।

সমাবেশে থেকে ৪ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো-

১। অবিলম্বে ২৪’র সেপ্টেম্বরে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত ও সেনাবাহিনীর উস্কানিতে সাম্প্রদায়িক হামলা-হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে এবং খুনীদের বিচারের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তির দিতে হবে।
২। পাহাড় থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে।
৩। পাহাড়ে এবং সারাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৪। অবিলম্বে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অন্যায় ধরপাকড়, তল্লাশি অভিযান বন্ধ করতে হবে।

সমাবেশ শেষে চেঙ্গী স্কয়ার থেকে একটি মিছিল স্বনির্ভর তিন রাস্তার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© পাহাড়ের কন্ঠ-২০২৫
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট