1. live@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ : পাহাড়ের কন্ঠ
  2. info@www.paharerkantho.online : পাহাড়ের কন্ঠ :
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ অপরাহ্ন

বন সংরক্ষণ আইন অপব্যবহার: পাহাড়িদেরকে দমনের কৌশল বদলে গেছে।

report : Amit Hill
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫
  • ২৩২ বার পড়া হয়েছে

বন সংরক্ষণ আইন অপব্যবহার: পাহাড়িদেরকে দমনের কৌশল বদলে গেছে।

সেনা ও সেটেলারদের দ্বারা ধরপাকড় ও নিধন চালিয়ে পাহাড়িদের দমনের কৌশল বদলে দিয়েছে মুসলিম সরকার। ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে চ্যালেঞ্জ করে “বন সংরক্ষণ” আইন প্রয়োগ করে মিথ্যা মামলা ও দমননীতি চালাচ্ছে মুসলিম মৌলবাদী সরকার ও দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসররা।

বাঘাইছড়ির হেদারমারা এলাকায় বাগান, সাজেক কলেজ ও স্কুল নির্মাণে সেনাবাহিনী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তাই এখন তারা বন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে নীরবে মামলা দায়ের করছে। এসব দমনমূলক পলিসির প্রয়োগ বিভিন্ন জায়গায় সফল হলেও আমরা অনেক সময় জানতে পারি না। খাগড়াছড়ির রামগড় ও মানিকছড়িতে তারা সফলভাবে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করতে পেরেছে। বান্দরবানে লামা, আলিকদম ও নাক্ষ্যংছড়িতে তারা সফল হয়েছে। পাহাড়িদের যত বাগান-বাগিচা আছে, ধীরে ধীরে সেগুলো এই “বন সংরক্ষণ” আইন দিয়ে দখলে নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল ঢাকার জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ‘হেবাং’-এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ধরনের হামলার মাত্রা বাড়বে, কমবে না। আমাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে আরও তিনটি পৃথক জেলা গঠন করা হবে। এর ফলে তিনটি নতুন সংসদীয় আসন সৃষ্টি হবে। তখন পাহাড়িদের তিন পার্বত্য জেলার দাবিও হারিয়ে যাবে এবং নতুন জেলাগুলিতে পাহাড়িদের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।

সেনা দখলদার বাহিনী জুম্মদেরকে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে ব্যস্ত রেখে, তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটেলারদের ক্ষমতায়ন করেছে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সেটেলারদেরকে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে:
১. রাজনীতি
২. গণমাধ্যম
৩. আইন বিভাগ (আইনজীবী)

রাজনীতিতে সেটেলারদের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । দেশের প্রধান গণমাধ্যমে তাদের দখল স্পষ্ট। অন্যদিকে আদালতে গেলে দেখা যায়, আইনজীবীদের মধ্যেও তাদের সংখ্যা বেশি। কেন এই ক্ষেত্রগুলোতে এত গুরুত্ব দেওয়া হলো? কারণ, তারা জানত শুধু সেনা শাসনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে শাসন করা যাবে না। তাই জনগণের বিরুদ্ধে জনগণকেই ব্যবহার করে বিকল্প শাসনের কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে- মামলা দিয়ে হয়রানি, ভূমি ছাড়তে বাধ্য করা, আর মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে এসব খবর গোপন রাখা।

এখন যারা অমুক-তমুক দল এবং তাদের সমর্থকদের আগে শেষ করে তারপর অধিকার আন্দোলনের বুলি দিচ্ছে – তারা আসলে কোনো আন্দোলন করছে না, বরং পেট বাঁচানোর ধান্ধা করছে মাত্র।
________________________________
আরেকটি প্রেক্ষাপট আছে, আঞ্চলিক দ্বন্দ্বমূলক রাজনীতিতে বিফল হলে তারা জাতিভিত্তিক রাজনীতিকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করবে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরাদের উস্কিয়ে নতুন একটি সংগঠন গঠনের কানাঘুষা শুনা যাচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© পাহাড়ের কন্ঠ-২০২৫
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট