ঢাকা, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (সন্ধ্যা): আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহারে মধু পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রার্থনা করতে যান ঢাকা পলিটেকনিক্যালের সাবেক ছাত্র বিজয় চাকমা। কিন্তু বিহারে প্রবেশ করার পর এক অপরিচিত ব্যক্তি তাকে বাইরে ডেকে নেয়।
বাহিরে গেলে বিজয় চাকমা দেখতে পান, সন্তু লারমার ছাত্র সংগঠনের ক্যাডার অভি চাকমা সিগারেট খেতে খেতে ৪-৫ জন সহযোগীসহ তাকে ঘিরে ধরে। এসময় তারা বিজয়ের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বলে—“তুই ফেইক আইডি ব্যবহার করে আমাকে গালাগালি করিস না? তোকে আজ পাইছি।” কিন্তু মোবাইল চেক করার পরও কোনো প্রমাণ না পাওয়া সত্ত্বেও, অভি চাকমার নেতৃত্বে বিজয়ের ওপর নির্মম মারধর চালানো হয়।
পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিজয় তার বন্ধুদের ডাকলে, অভি চাকমার নেতৃত্বে সন্তু লারমার ক্যাডাররা তাদের ওপরও হামলে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার দখলের পরিকল্পনা আগেই সাজানো ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সন্তু লারমার ঘনিষ্ঠ ক্যাডার দীপায়ন খীসা কোনো আয়-ইনকাম না থাকায় বিহার পরিচালনা কমিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা বিহারের অধ্যক্ষকেও অনলাইনে নানাভাবে চরিত্রহননের শিকার করে আসছিলেন। অবশেষে কয়েকদিন আগে তারা বিহার পরিচালনা কমিটি দখল করতে সক্ষম হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের প্রভাব বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ প্রদর্শনের অংশ হিসেবেই বিজয় চাকমাকে টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়।
বিজয় চাকমার ওপর এ হামলার পূর্ণ দায় নিতে হবে সন্তু লারমার ক্যাডারদের। শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহার দখল ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার নামে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।